ডেস্ক রিপোর্ট ::
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে কিছু দিন আগে। এবার এই প্রকল্পে বরাদ্দের ১ হাজার ৩১১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এককালীন ছাড় করছে সরকার। যার মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ৭৬৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা অগ্রিম উত্তোলন করবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই অর্থ ছাড় করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা শামীমা আকতার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের অনুমোদিত আশ্রয়ণ-৩ প্রকল্পের জন্য সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দকৃত অর্থ হতে ১ হাজার ৩১১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এককালীন ছাড় করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে এই অর্থ থেকে ৭৬৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা অগ্রিম উত্তোলনেরও অনুমতি দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
প্রকল্পটি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে বাস্তবায়ন হচ্ছে। যেখানে এক লাখ রোহিঙ্গার আবাসন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পে মোট ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
২০১৭ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়ে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে শেষ হবে। বিদেশি সহায়তা ছাড়াই সম্পূর্ণ দেশজ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছিল, এ অর্থ দিয়ে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পুনর্বাসন করা হবে। ১ লাখ ৩ হাজার ২০০ মানুষের বসবাসের জন্য ১২০টি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া ভাসানচরের অভ্যন্তরে সড়ক, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, নলকূপ বসানোসহ যাবতীয় অবকাঠামো তৈরি করা হবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা, প্রধান হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, সেগুনবাগিচাস্থ সিজিএ ভবনের দফতরে বিলের মাধ্যমে এ অর্থ উত্তোলন করবে। যা ব্যয়ের পর সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বিল বা ভাউচার দাখিল করবে।
এখানে আরও বলা হয়, অর্থ ব্যয়ে কোনো অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট বিল প্রদানকারী কতৃপক্ষ দায়ী থাকবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অগ্রাধিকার প্রকল্প। মানবিক দৃষ্টি থেকে এই প্রকল্পের অর্থ ছাড়ের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসলে সেটা পরিপালন করা হবে।
পাঠকের মতামত: